দক্ষিণ ও মধ্য গাজার মার্কিন-সমর্থিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে রাফায় কমপক্ষে ৩১ জন এবং নেটজারিম করিডোরে আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা অসহায় মানুষজনের ওপর এই হামলায় গাজায় চলমান মানবিক সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, যেখানে মানুষ খাবার ও চিকিৎসা সহায়তা নিতে জড়ো হয়েছিল, সেখানে মুহূর্তেই রক্তাক্ত বিভীষিকায় পরিণত হয় পরিবেশ।
ইতোমধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৫৪,৪১৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,২৪,১৯০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ ধ্বংসস্তুপের নিচে বহু মানুষ এখনো চাপা পড়ে রয়েছেন।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০’র বেশি মানুষ অপহৃত হন, যাদের অনেকে এখনো নিখোঁজ।
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও ত্রাণ সংগঠনগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গাজার ৮০ শতাংশ মানুষ এখন গৃহহীন এবং প্রতিদিনের খাদ্য ও চিকিৎসাসেবার জন্য নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর। এমন পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হত্যাকাণ্ড মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ত্রাণ করিডোরগুলো, যা নিরাপদভাবে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, সেগুলোই এখন প্রাণঘাতী হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে।
Leave a Reply