ভারতে আবারও ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা ভাইরাস। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ২৯ মে পর্যন্ত সারা দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ২,৫০০-এর গণ্ডি। বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, মহারাষ্ট্রের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, যা পুনরায় হটস্পট হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শীর্ষে মহারাষ্ট্র, এরপর উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি
মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, এরপরই রয়েছে ভারতের রাজনৈতিক কেন্দ্র দিল্লি। তালিকায় আরও রয়েছে গুজরাট, রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের মতো জনবহুল রাজ্যগুলো।
দেশটির ভাইরোলজিস্টরা করোনা ভাইরাসের দুটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত করেছেন:
🔹 LF.1.8.1
🔹 LF.SE
এই দুই ভ্যারিয়েন্টই দ্রুত সংক্রমণ ঘটাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, যা আপাতদৃষ্টিতে স্বস্তির খবর হলেও সতর্কতা বজায় রাখার বিকল্প নেই।
চিকিৎসকদের মতে, নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ রোগীর উপসর্গ হালকা:
🔹গলা ব্যথা
🔹মাথাব্যথা
🔹সামান্য শ্বাসকষ্ট
তবে উপসর্গ হালকা হলেও সংক্রমণ ছড়ানোর গতি বেশি হওয়ায় জনসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
করোনা পরিসংখ্যান:
🔹মোট আক্রান্ত (২০২০-২০২৫): প্রায় ৪.৫ কোটির কাছাকাছি
🔹মোট মৃত্যু: আনুমানিক ৬.৫ লাখ
🔹 টিকা প্রদান: এখন পর্যন্ত ৭২ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে – যা বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির একটি সফল দৃষ্টান্ত বলে দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়ানো এবং হাত পরিষ্কার রাখার অভ্যাস পুনরায় সক্রিয় করা জরুরি।
তবে এক্ষেত্রে অযথা আতঙ্ক না ছড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
Leave a Reply