যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনায় অগ্রগতি হওয়ার ইঙ্গিত মিলতেই ওয়াশিংটন থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিনি বলেছেন, ইরানের উপর এখনই কোনো সামরিক হামলা “উপযুক্ত হবে না”।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প বলেন, “আমরা একদম সমাধানের কাছাকাছি আছি, তাই এই মুহূর্তে কোনো হামলা ঠিক হবে না।”
ইসরায়েল এরইমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে পারে। অপরদিকে, ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে—এমন কোনো পদক্ষেপের জবাবে তারা কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ওমান ও ইতালিতে মধ্যস্থতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান গোপন আলোচনা ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্র বলছে, ইরান এক বছরের জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থগিত রাখতে রাজি, তবে তার বিনিময়ে:
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের আটকে থাকা তেল রাজস্ব মুক্ত করতে হবে
এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইউরেনিয়াম পরিশোধনের অধিকার স্বীকৃতি দিতে হবে, যা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি (NPT) অনুযায়ী ইরানের অধিকার
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো দাবি করছে, সম্পূর্ণভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ না করলে চুক্তি সম্ভব নয়। ওয়াশিংটনের আশঙ্কা, এর মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রের পথ খুলে যেতে পারে। ইরান অবশ্য বারবার বলেছে তাদের কর্মসূচি শুধু বেসামরিক উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি বলেছেন, “দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ইচ্ছা স্পষ্ট”— যা একটা ভালো দিক।
২০১৫ সালের JCPOA চুক্তি ভেঙে পড়েছিল ২০১৮ সালে, যখন ট্রাম্প unilateralভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ওই সমঝোতা থেকে সরিয়ে নেন। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে উত্তেজনা।
বর্তমান আলোচনায় JCPOA-র পুনর্জন্ম না হলেও, কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে একটি “রাজনৈতিক সমঝোতা” হতে পারে যা **মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
Leave a Reply