গাজার জাবালিয়া এলাকায় একটি কিন্ডারগার্টেনকে লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন, যারা ওই ভবনটিকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। শনিবারের এই হামলাটি ছিল নতুন করে ভয়াবহতার বহিঃপ্রকাশ, যেখানে আগের হামলায় ঘরহারা বহু মানুষ শিশুদের স্কুলে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিলেন।
আজ শনিবারের মধ্যে গাজায় আরও অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র করেছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ গাজায় ত্রাণের আশায় জড়ো হওয়া নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের গুলিবর্ষণে কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন, বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর তীব্র নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত ৫৪,০৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,২৩,৩০৮ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে চালানো হামলায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত এবং ২০০-এর বেশি লোককে জিম্মি করা হয়।
গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। যুদ্ধবিরতির দাবিতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও পরিস্থিতির উন্নতির কোনো আভাস এখনও দেখা যাচ্ছে না।
Leave a Reply