সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ নিয়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসছে না। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিসমূহ মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টিগোচরে আনা হবে। দেশের বাইরে থাকায় এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।”
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ ঘিরে চলমান অস্থিরতা নিরসনে সাত সদস্যের সচিব কমিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে আন্দোলনরত পক্ষের পক্ষ থেকে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তুলে ধরা হয়।
অন্যদিকে, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, “সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পর ভূমি সচিবের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৭ মে) রাতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি আগামী ৩১ মে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সচিবালয়ে বিক্ষোভ হওয়ার কথা থাকলেও তা আগেভাগেই স্থগিত করা হয়।
অধ্যাদেশের বিতর্কিত দিক:
🔸সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ চারটি ‘অসদাচরণ’ নির্ধারণ করে তা চাকরিচ্যুতির শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আওতায় আসবে:
🔸অননুমোদিত অনুপস্থিতি বা কর্মবিরতি
🔸সহকর্মীদের কর্মে বাধা দেওয়া বা উসকানি
🔸শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা অননুগত্য
🔸কর্মসম্পাদনে ব্যর্থতা
অভিযোগ গঠনের ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও তার ভিত্তিতে আরও ৭ কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
এই অধ্যাদেশকে ‘নির্বিচার ও কালাকানুন’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম।
Leave a Reply