গাজা উপত্যকার উত্তরে সাংবাদিক ওসামা আল-আরবিদের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোর থেকে এ পর্যন্ত গাজাজুড়ে বিভিন্ন হামলায় প্রাণ গেছে আরও অন্তত ১৫ জনের।
একইসঙ্গে, বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে ভিড় করা সাধারণ জনগণের ওপর ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৪৬ জন আহত হয়েছেন।
এই ফাউন্ডেশনটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সরাসরি সমর্থনপুষ্ট হলেও, এর কার্যক্রম নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ এবং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা অভিযোগ করেছে— সংস্থাটি আন্তর্জাতিক মানবিক নীতিমালা মেনে চলছে না, বরং সংঘাত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধকালে ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৪,০৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,২৩,১২৯ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, এই মৃত্যুর সংখ্যা বাস্তবে আরও বেশি—প্রায় ৬১,৭০০—কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজারো মানুষের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, এবং তাদের মৃত বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি হিসাব অনুযায়ী, হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন এবং দুই শতাধিককে জিম্মি করা হয়।
Leave a Reply