গাজা উপত্যকায় হামলা আরও জোরালো করেছে ইসরায়েল। এরইমধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনুসের বাসিন্দাদের জোরপূর্বক সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৩০টি বিমান হামলা চালিয়েছে তারা, যাতে ভোর থেকে এখন পর্যন্ত গাজা জুড়ে অন্তত ৪৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নয় মাস ধরে চলা যুদ্ধের নতুন এ ধাপ গাজা উপত্যকায় ধ্বংসযজ্ঞ আরও বাড়িয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৩,৩৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,২১,০৩৪ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার মানুষের খোঁজ না মেলায় তাদের মৃত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, গাজায় সীমিত পরিমাণে মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তবে কবে নাগাদ এই সহায়তা গাজায় প্রবেশ করবে, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানানো হয়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির চরম ঘাটতিতে গাজা পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
যুদ্ধের সূচনা ঘটে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার মাধ্যমে। এতে ইসরায়েলে প্রায় ১,১৩৯ জন নিহত এবং ২০০-এর বেশি মানুষ বন্দি হয়। যদিও ইসরায়েল দাবি করছে, তারা কেবল হামাসের অবকাঠামো ধ্বংস করতে অভিযান চালাচ্ছে, তবে বাস্তবতা হলো—যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভুগছে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।
খান ইউনুসের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার এই নতুন নির্দেশ যুদ্ধের আরও ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা হতাহতের সংখ্যা এবং অব্যাহত গোলাবর্ষণের প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর চাপ বাড়ছে—একটি জরুরি যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার পূর্ণ প্রবেশ নিশ্চিত করার জন্য।
Leave a Reply