ইসরায়েলি বাহিনী ফের বোমাবর্ষণ করেছে খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে, যেখানে দক্ষিণ গাজায় সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। এই সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
এই আঘাত এমন সময়ে এলো, যখন ইসরায়েল পুরো গাজা উপত্যকায় এক বিশাল স্থল অভিযান শুরু করেছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, শুধুমাত্র রবিবারেই এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৫১ জন ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় সীমিত পরিমাণ মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার ঘোষণা দিলেও, সেই সহায়তা কবে পৌঁছাবে তা এখনও অনিশ্চিত। ইতোমধ্যেই তীব্র খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে ভুগছে গাজা, যেখানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মানবিক বিপর্যয়ের সতর্কতা দিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-নেতৃত্বাধীন হামলার জবাবে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩,৩৩৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ১,২১,০০০-এর বেশি। তবে গাজায় কার্যরত সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস বলছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও হাজার হাজার মানুষের লাশ চাপা পড়ে থাকতে পারে, ফলে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল দাবি করেছে যে ৭ অক্টোবরের হামলায় তাদের দেশে ১,১৩৯ জন নিহত হয়েছে এবং ২০০ জনের বেশি জিম্মি হয়েছিল, যাদের অনেকেই এখনও নিখোঁজ।
সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণ না থাকায়, যুদ্ধবিরতি ও অবাধ মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান বিশ্বজুড়ে জোরালো হচ্ছে।
Leave a Reply