দোহা, কাতার — মধ্যপ্রাচ্য সফরের দ্বিতীয় ধাপে সৌদি আরব ত্যাগ করে বুধবার কাতারে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাজকীয় আয়োজনের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়। সফরে কাতারের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একাধিক বিশাল অর্থনৈতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, যা যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও মজবুত করার ইঙ্গিত দেয়।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলোর ফলে মোট অন্তত ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক বিনিময় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিমান ও প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বড় চুক্তি এই চুক্তির মূল আকর্ষণ হলো কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে ৯৬ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি, যার আওতায় প্রতিষ্ঠানটি বোয়িং-এর ২১০টি বিমান কিনবে — এর মধ্যে রয়েছে ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ও নতুন প্রজন্মের ৭৭৭এক্স মডেল।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার ৩৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কৌশলগত ঘাঁটি আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
এদিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে সিরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও সিরিয়ার কর্মকর্তাদের একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক, যা দোহায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ত্রিদেশীয় এই সফরের শেষ গন্তব্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, যেখানে বৃহস্পতিবার সফর শেষ করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই সফরের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যে কৌশলগত পুনঃস্থাপনা এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
Leave a Reply