বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের আলোচিত এক সময়ের দম্পতি ছিলেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ও মডেল মারিয়া মিম। ভালোবাসার সম্পর্ক থেকেই ২০১২ সালে তাদের বিয়ে, এরপর ২০১৩ সালে জন্ম নেয় একমাত্র পুত্রসন্তান—আরশ হোসেন। তবে দীর্ঘ হয়নি সংসার। ২০১৯ সালে বিচ্ছেদে গড়ায় সেই সম্পর্ক।
ডিভোর্সের পর সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে শুরু হয় নতুন অধ্যায়। মারিয়া মিমের দাবি, বিচ্ছেদের পর থেকে ছেলেকে তিনি নিজেই লালন-পালন করছেন। সন্তান তার সঙ্গেই থাকে, ভরণপোষণসহ সব দায়িত্ব তিনিই বহন করছেন। অভিনেতা সিদ্দিক কোনো ধরনের সহযোগিতা করছেন না বলেও অভিযোগ তার।
সম্প্রতি একটি সেলিব্রেটি ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন মিম। সেখানেই তিনি ছেলের অভিভাবকত্ব ঘিরে সিদ্দিকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন। তার ভাষায়,
‘সিদ্দিক পলিটিক্স করে। ছেলে যখন ওর কাছে যায়, তখন অনেক ছবি তোলে। পরে সেগুলো ধাপে ধাপে ফেসবুকে আপলোড করে যেন মানুষ ভাবে, ছেলেটা ওর কাছেই থাকে। অথচ বাস্তবে আরশ ছয় মাসে একবার বাবার কাছে যায়, তাও মাত্র দুই দিনের জন্য।’
মিম আরও জানান, সন্তানকে বাবার কাছে বেশি সময় না দেওয়ার পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ।
‘আমি দেখেছি, আরশ বাবার বাসা থেকে ফিরে এসে বলে—“মাম্মি, বাবা তোকে আমার কাছে আসতে মানা করেছে।” মানে ওখানে গিয়ে আমার ছেলেকে ব্রেইনওয়াশ করা হতো। যদিও আদালতের নির্দেশনা ছিল, আরশ মাঝে মাঝে বাবার কাছে যেতে পারবে কিন্তু রাতে থাকা যাবে না। আমি সে নিয়ম ভেঙে দুই দিন থাকতে দিতাম। কিন্তু প্রতিবারই ফিরে এসে ওর কথায় বুঝতাম, মানসিক প্রভাব ফেলা হয়েছে।’
এই মডেল ও শিক্ষার্থী মনে করেন, সিদ্দিক এবং তার পরিবারের কেউই চান না—আরশ মায়ের সান্নিধ্যে থাকুক।
‘ওরা চায় না আমার ছেলে আমাকে ভালোবাসুক বা আমার কাছে আসুক। এ কারণেই নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে তার মন বদলে দেওয়ার চেষ্টা করে।’
এই বিষয়ে সিদ্দিকের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply