দেশের প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বড় ধরনের শূন্যতার চিত্র উঠে এসেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ৩২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনো প্রধান শিক্ষক নেই।
শনিবার সকালে রাজধানীর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য দেন। একই অনুষ্ঠানে ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪’ বিতরণও করা হয়।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন,
এত বিশাল সংখ্যক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকা শুধু প্রশাসনিক দুর্বলতাই নয়, এটি শিক্ষার গুণগত মানের জন্য মারাত্মক হুমকি। তদুপরি, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অযাচিত মামলা ও হয়রানিমূলক আচরণ বিদ্যালয় পরিচালনায় মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।
তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে বাণিজ্যিকীকরণের বিরূপ প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।“আজ অনেক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাচ্ছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় টিকছে না। এর দায় কার? শিক্ষা এখন সার্টিফিকেট নির্ভর হয়ে উঠছে, মেধা ও যোগ্যতা মূল্যায়নের জায়গাটা হারিয়ে যাচ্ছে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
তিনি বলেন,
রাষ্ট্র এখনো শিক্ষকদের উপযুক্ত সম্মানী দিতে ব্যর্থ। তবে বর্তমান সরকার এ অবস্থা পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তিনি শিক্ষায় সমতা আনার দিকটিকে সরকারের অগ্রাধিকার উল্লেখ করে আরও বলেন:
“শিক্ষায় বৈষম্য দূর করার সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হচ্ছে সরকারি উদ্যোগ। আজকের শিশু-কিশোরদের প্রতিভা বিকাশে এবং আগামীর নেতৃত্বে প্রস্তুত করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব—যা বাস্তবায়নে আমরা সচেষ্ট।”
Leave a Reply