গত সপ্তাহে পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ভারতের “এয়ার-টু-সারফেস” ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে পাকিস্তান রাতারাতি “অপারেশন বুনিয়ান মারসুস” নামে লক্ষ্যভিত্তিক সামরিক অভিযান চালিয়েছে। পাক সামরিক সূত্র জানায়, গভীর রাতে ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর পাল্টা আঘাত হানা হয়েছে, যা দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনাকে আরও তীব্র করেছে।
পাকিস্তান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আকাশসীমা সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করেছে—শনিবার ভোর ৩টা ১৫ (স্থানীয় সময়) থেকে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এতে আঞ্চলিক আকাশপথে বিশাল অবরোধ সৃষ্টি হয়েছে, যা চলমান সংকটের মাত্রা নির্দেশ করে।
সীমান্তের ওপারে: সাইরেন ও ড্রোনের হুমকি ভারত-শাসিত কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব প্রদেশে রাতভর বিমান সাইরেন ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, অন্তত ২৬টি স্থানে ড্রোন শনাক্ত করা হয়েছে এবং সেগুলোকে “ট্র্যাক ও এনগেজ” করা হচ্ছে। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর শহরে একটি ড্রোন হামলায় তিনজন সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য।
মানবিক ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে বুধবার ভারতের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার খবর মিলেছে; এর মধ্যে ৩৩ জনই পাকিস্তানের ভেতরে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আহত ও অবকাঠামো ধ্বংসের খবরও ক্রমেই বাড়ছে।
ভারত দাবি করছে, তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল “সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ শিবির”; তবে পাকিস্তান বলছে, এসব হামলায় বেসামরিক স্থাপনা ও নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, যা তাদের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ফ্ল্যাশপয়েন্টে দক্ষিণ এশিয়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়েছে। দুই প্রতিবেশি পারমাণবিক শক্তির মধ্যে উত্তেজনা যেন একদম সুতোর চিড়ে ঝুলে আছে। উভয় পক্ষই নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছে, আর কূটনৈতিক সংলাপ কার্যত স্থবির।
বিশ্লেষকদের মতে, অপারেশন বুনিয়ান মারসুস দক্ষিণ এশিয়াকে এমন এক বিপজ্জনক মোড়ে দাঁড় করিয়েছে, যেখানে সামান্য ভুল গণনাও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।
Leave a Reply