পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানে ভারতের বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। মাত্র ২৫ মিনিটের অভিযানে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন হারিয়ে নয়াদিল্লিকে গুনতে হচ্ছে প্রায় ৯৫০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ক্ষতি। নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ ভারতীয় সেনা।
ভারত দাবি করেছে, ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস’ করতেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। তবে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, টার্গেট করা হয়েছে মূলত বেসামরিক স্থাপনা—যার মধ্যে রয়েছে মসজিদ, স্কুল ও সাধারণ বাসাবাড়ি। নিহতদের মধ্যে কেউই সন্ত্রাসী নয়, সবাই নিরীহ সাধারণ নাগরিক।
সাম্প্রতিক এই অভিযানে বিধ্বস্ত পাঁচটি যুদ্ধবিমানের মধ্যে ছিল তিনটি রাফাল ফাইটার জেট, যার প্রতিটির মূল্য আনুমানিক ২৮৫ মিলিয়ন ডলার। ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক চুক্তি অনুযায়ী, গত মাসের শেষ দিকে ২৬টি রাফাল কেনা হয় প্রায় ৭,৪০০ মিলিয়ন ডলারে। এর ভিত্তিতে একাই রাফাল ধ্বংসে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৬৪ মিলিয়ন ডলার।
এছাড়াও ধ্বংস হয় রাশিয়ায় তৈরি একটি সুখোই SU-30 এবং একটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান। সংশ্লিষ্ট সামরিক সূত্রে জানা যায়, ভারতে উন্নয়ন ও কাস্টমাইজেশন শেষে প্রতিটি সুখোই ৩০-এর গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৭০.৩ মিলিয়ন ডলার এবং প্রতিটি মিগ-২১ এর মূল্য প্রায় ১১ মিলিয়ন ডলার।
এ অভিযানে ধ্বংস হয় একটি হারন ড্রোন, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫.৫ মিলিয়ন ডলার। ফলে বিমান ও ড্রোন মিলিয়ে অভিযানে ভারতের মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে।ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, এই হামলা ছিল “নির্দিষ্ট সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে গৃহীত একটি সফল সামরিক পদক্ষেপ”। অপরদিকে পাকিস্তান সরকার এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ভারতের হামলায় ধ্বংস হয়েছে মসজিদ, স্কুল, বাজার ও ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক ভবন—এবং নিহত হয়েছেন শুধুই সাধারণ নাগরিক।
আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যুদ্ধের নামে বেসামরিক জীবনকে বিপন্ন করে তোলা এবং আকাশপথে এমন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণে বিশ্লেষকরা বলছেন, “প্রতীকী শক্তি প্রদর্শনের ব্যয় ভারতে আরও বড় ধরনের কৌশলগত মূল্য চাপিয়ে দিতে পারে।”
Leave a Reply