ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানা পাল্টাপাল্টি হামলার উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটেও ভারতের রাজধানী দিল্লিতে কূটনৈতিক সফরে পৌঁছেছেন ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সফরটি এমন এক সময় এলো, যখন দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা শীর্ষে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আরাগচির সফরটি ভারত-ইরান মৈত্রী চুক্তির ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ।
দিল্লিতে তিনি শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানায় বিবিসি।
ভারত সফরের ঠিক একদিন আগে আরাগচি ইসলামাবাদে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই ধারাবাহিকতা ইঙ্গিত দিচ্ছে, তেহরান দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে চাইছে।
এর আগে ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছিল।
গত মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের ভূখণ্ড ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অন্তত ২৪টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। টার্গেটে ছিল মুজাফফারাবাদ, কোটলি, শিয়ালকোট, শাকারঘার, পূর্ব আহমেদপুরসহ কয়েকটি এলাকা। ভারত দাবি করেছে, এসব স্থানে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ গড়ে উঠেছিল।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। ইসলামাবাদের দাবি, তারা ভারতের একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ও কয়েকটি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করেছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর জানায়, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান এবং একটি ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০ ও একটি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। ফরাসি গোয়েন্দা সূত্র ইতোমধ্যেই একটি রাফাল ভূপাতিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই সংকটময় সময়ে আরাগচির দিল্লি সফর কেবল আনুষ্ঠানিক সৌজন্য নয়, বরং অঞ্চলজুড়ে একটি সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী শক্তি হিসেবে ইরানের ভূমিকাকে সামনে নিয়ে আসছে। ভারত ও পাকিস্তান— উভয়ের সঙ্গেই সুসম্পর্ক থাকা তেহরানের এই পদক্ষেপ আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।
Leave a Reply