ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ভারতের অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। বুধবার ভোররাতে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR) এই দাবি করে জানিয়েছে, পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা বাহিনী নিজেদের আকাশসীমা থেকে প্রতিরক্ষামূলক হামলা চালিয়ে ভারতের আধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোকে ভূপাতিত করে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্র ও ধ্বংসাবশেষের ছবির মাধ্যমে এই দাবির আংশিক সত্যতা প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ভারত সরকার এ পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি এবং বিমান ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নীরবতা বজায় রেখেছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ধ্বংস হওয়া পাঁচটি যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে তিনটি ফরাসি তৈরি রাফাল, একটি সুখোই ও একটি মিগ বিমান। এসব বিমানকে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যদি এই ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সত্যি হয়, তবে তা ভারতের জন্য কেবল সামরিক নয়, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবেও একটি বড় ধাক্কা।
এই উত্তেজনার সূত্রপাত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের পক্ষ থেকে আজাদ কাশ্মীরের কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান দ্রুত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং প্রতিক্রিয়াস্বরূপ হামলা চালায় বলে জানায় দেশটির সামরিক বাহিনী।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাত্র কয়েক ঘণ্টার সংঘাতে আধুনিক ও ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান হারানো ভারতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতির বার্তা বহন করে। রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রতিটির দাম প্রায় ২৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার অর্থনৈতিক প্রভাবও ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাজেটে বড়সড় চাপ ফেলতে পারে।
এই ঘটনার পর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে, এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বেড়েছে। জাতিসংঘসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র শান্ত থাকার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
স্মরণযোগ্যভাবে, ২০১৯ সালের উরির ঘটনার পরেও এমন এক পাল্টা আক্রমণে পাকিস্তান একটি ভারতীয় মিগ-২১ বিমান গুলি করে নামায় এবং পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে, পরে ফেরত দেয়। সেই ঘটনার রেশ এখনো উপমহাদেশের কূটনীতিতে রয়ে গেছে।
এদিকে, ভারতের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া না আসায় গণমাধ্যম ও বিশ্লেষকদের মধ্যে জল্পনা-বিস্ময় তৈরি হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—এই বিপর্যয়ের দায়ভার কীভাবে নেবে নয়াদিল্লি, এবং উত্তেজনা প্রশমনে কী কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply