ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নির্বাসনে থাকা দেশটির সামনে ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কোনো পথ খোলা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, রাশিয়ার জন্য বিশ্বকাপে ফেরার সুযোগ রাখা হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি কার্যকর কূটনৈতিক প্রণোদনা।
২০২৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ সামনে রেখে প্রথম প্রস্তুতি বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও।
বিশ্বকাপের ১০৪ ম্যাচের মধ্যে ৭৮টি অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। আয়োজন সংক্রান্ত আলোচনার ফাঁকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তোলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন,
আমি জানতাম না রাশিয়া নিষিদ্ধ। এটা তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো তখন জানান,
“হ্যাঁ, আপাতত তারা নিষিদ্ধ। তবে আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে শান্তি ফিরে এলে তারা আবার আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরতে পারবে।”
ট্রাম্প এই প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেন,
“হতে পারে, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ রাশিয়ার জন্য একটি ইতিবাচক প্রণোদনা হবে। আমরা চাই যুদ্ধ থামুক। প্রতি সপ্তাহে প্রায় পাঁচ হাজার তরুণ নিহত হচ্ছে— এটা যেন বিশ্বাসই করা যায় না।”
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই দেশটির ফুটবল দল আন্তর্জাতিক সব টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ রয়েছে— ফিফা ও উয়েফার যৌথ সিদ্ধান্তে। সে অনুযায়ী, রাশিয়া ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেও অংশ নিতে পারেনি।
বৈঠকে ট্রাম্প আরও জানতে চান—
যদি যুদ্ধ বন্ধ হয়, তাহলে কি রাশিয়াকে আগামী বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে?
তবে বাস্তবতা হলো, বাছাইপর্বে না থাকায় রাশিয়ার ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের আর কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি যদি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে তার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে সেই রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কূটনৈতিক সম্প্রসারণ হিসেবেই দেখছেন অনেক বিশ্লেষক।
Leave a Reply