দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী ভারতের ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। বুধবার সকালে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযানে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের কিছু লক্ষ্যবস্তুতে মিসাইল হামলা চালায় ভারত। এর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতীয় হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। ইসলামাবাদ দাবি করেছে, হামলায় মসজিদ ও বেসামরিক বসতিতে আঘাত হেনেছে, এবং একে “যুদ্ধ ঘোষণার সামিল” বলে আখ্যায়িত করেছে। পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা এর “পরিকল্পিত ও জবাবদিহিমূলক প্রতিক্রিয়া” জানাবে।
অন্যদিকে ভারত বলেছে, তাদের টার্গেট ছিল তথাকথিত “জঙ্গি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প”, যেগুলোর সঙ্গে সম্প্রতি কাশ্মীরের পাহেলগামে হওয়া প্রাণঘাতী হামলার যোগসূত্র রয়েছে বলে নয়াদিল্লির দাবি। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
এই সামরিক উত্তেজনার সূত্রপাত হয় ২২ এপ্রিল পাহেলগামে আত্মঘাতী হামলার পর, যেখানে বহু মানুষ নিহত হন। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দায়ী করে, যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে এবং ভারতকে দোষ চাপানোর রাজনীতি না করার আহ্বান জানিয়েছে।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, সামান্য ভুল হিসাবও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যার প্রভাব গোটা অঞ্চলে পড়বে।
এমন প্রেক্ষাপটে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও কূটনৈতিক আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানানো হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে।
Leave a Reply