দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সামান্য হলেও ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ৬ মে পর্যন্ত দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা আগের মাসের তুলনায় কিছুটা বেশি।
মঙ্গলবার (৭ মে) গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৬ মে পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২৭৪৪৯.৬৬ মিলিয়ন বা ২৭.৪৪ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) গৃহীত হিসাব পদ্ধতি ‘ব্যালান্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল সিক্সথ এডিশন’ (BPM6) অনুযায়ী নিট রিজার্ভ দাঁড়ায় ২২.০৬ বিলিয়ন ডলারে।
তুলনামূলকভাবে, গত মাসের ৪ মে পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৭.৩৫ বিলিয়ন ডলার এবং BPM6 পদ্ধতিতে নিট রিজার্ভ ছিল ২১.৯৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ উভয় সূচকেই সামান্য উন্নতি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ গণনায় গ্রস রিজার্ভ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দেওয়া হয়। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে মূলত বৈদেশিক দেনা পরিশোধ, আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক লেনদেনের সক্ষমতা পরিমাপ করা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য এই প্রবৃদ্ধি স্বস্তিদায়ক হলেও সামগ্রিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ নয়। রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর মধ্যেই রিজার্ভ পুনর্গঠনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নিহিত।
Leave a Reply