রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক করিডর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার জনগণ কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়নি। করিডরের মতো সিদ্ধান্ত নির্বাচিত সংসদ থেকেই আসা উচিত। দেশের স্বার্থে বিদেশি মতামতের আগে জনগণের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয় শ্রমিকদলের আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “বর্তমানে সংস্কার নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে, কিন্তু সেই কর্মপ্রক্রিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর অনুপস্থিত। একটি জবাবদিহিমূলক সরকার ও নির্বাচিত সংসদ ছাড়া জনগণের প্রকৃত কথা রাষ্ট্রের কাছে পৌঁছায় না। কারণ যারা সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তারা জনগণের কথা শুনতে বাধ্য।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু অংশ রাজনৈতিক ঐক্য বিনষ্ট করতে সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। অথচ এই দুই বিষয়—সংস্কার ও নির্বাচন—একই সঙ্গে প্রয়োজন।”
স্বৈরাচার রোধে জবাবদিহিমূলক সরকার অপরিহার্য
তারেক রহমান বলেন, “একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমর্থন দিয়ে রাখা যৌক্তিক নয়। এটা স্বৈরশাসনের জন্ম দিতে পারে। জনগণের ওপর একক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে সেখানে ফ্যাসিবাদের বিস্তার ঘটে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষমতার লালসা যেন জাতিকে ফের স্বৈরাচারের দিকে ঠেলে না দেয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।”
শ্রমিকদের উপেক্ষা করে কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ সম্ভব নয়
দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “১৮ কোটি মানুষের এই দেশে প্রায় ৮ কোটি মানুষ শ্রমজীবী। এই বিশাল জনগোষ্ঠীই অর্থনীতির প্রাণ। অথচ বারবার তারা অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত। শ্রমিকদের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা ছাড়া কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।”
Leave a Reply