প্রবাসী শ্রমিকদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে নির্বাচন আয়োজনকে আরেকটি রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি এই মন্তব্য করেন মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর বাংলামটরে এনসিপির শ্রমিক উইং আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায়।
হাসনাত বলেন,
শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আজও পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শুধুমাত্র খাতা-কলমে তাদের গণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। আমরা চাই প্রতিটি শ্রমিক হোক একটি পূর্ণাঙ্গ নাগরিক—যার কণ্ঠস্বর থাকবে রাষ্ট্র গঠনে, নীতিনির্ধারণে।
প্রবাসী শ্রমিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যারা পরিবার ছেড়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রবাসে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন, রাষ্ট্র তাদের কী দিয়েছে? দেশে ফিরে এলে তারা পরিবারে অবহেলিত, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় উপেক্ষিত। অথচ এই মানুষগুলোর কষ্টার্জিত আয়েই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ টিকে থাকে।”
“যদি তাদের ভোটাধিকার না থাকে, তাহলে রাষ্ট্র তাদেরকে শুধু আয়-উৎপাদনকারী হিসেবে গণ্য করছে। এটি আরেকটি বৈষম্য, যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চলতে পারে না,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতা যাদের হাতেই থাকুক না কেন, শ্রমিক এবং প্রবাসী নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করাই হবে একটি সভ্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে প্রবাসীদেরও আগামী নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হয় এবং তাদের কণ্ঠস্বরও রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্ব পায়।
Leave a Reply