ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘যুদ্ধ-প্ররোচনামূলক’ অবস্থানকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগার থেকে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, “মোদি সরকারের আগ্রাসন পাকিস্তানের জনগণকে অভ্যন্তরীণ বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় ঐক্যে একত্রিত করেছে।”
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইমরান খান বলেন, “যদিও আমরা একটি অবৈধ সরকারকে (শেহবাজ সরকার) প্রত্যাখ্যান করি, তবুও জাতি হিসেবে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ মোদির উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি।”
তিনি জানান, ভারতের পহেলগাম হামলার ঘটনায় নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানালেও, পাকিস্তানকে দোষারোপ করার প্রবণতা নিন্দনীয়। “যখন পালওয়ামা ঘটনার মতো একটি ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অপারেশন হয়, তখন পাকিস্তান সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল। তবুও ভারত সরকার কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ হাজির করতে পারেনি,” বলেন ইমরান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর কাশ্মীরে নিপীড়ন আরও বেড়েছে। আরএসএস-এর মতাদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত ভারত কেবল এই অঞ্চলের জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
ইমরান খান আবারও কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এই ইস্যুটি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে ভূমিকা রাখতে।
Leave a Reply