পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের সিদ্ধান্ত বড় ধরনের সংকটে ফেলেছে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোকে। আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটগুলোকে এখন অতিরিক্ত পথ ঘুরে যেতে হচ্ছে, যার ফলে বাড়ছে জ্বালানি খরচ, দীর্ঘ হচ্ছে ভ্রমণের সময় এবং বেড়েছে টিকিটের দাম। এতে আর্থিক চাপের মুখে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগোসহ ভারতের একাধিক বিমান সংস্থা।
কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে পাকিস্তান ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। বিশেষ করে দিল্লি বিমানবন্দর, যা বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম এয়ারপোর্টগুলোর একটি, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপগামী ফ্লাইটগুলোর জন্য পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করত। এখন ঘুরপথ নিতে বাধ্য হচ্ছে ভারতীয় বিমানগুলো।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট দিল্লি থেকে আজারবাইজানের উদ্দেশে রওনা হয়। আগে সরাসরি যাত্রার বদলে এবার ফ্লাইটটি প্রথমে গুজরাটের দিকে যায়, এরপর আরব সাগর পাড়ি দিয়ে ইরানের আকাশপথ হয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। এতে সময় লেগেছে ৫ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট, যা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় ৪০ মিনিট বেশি।
বিশ্বখ্যাত বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিমান পরিচালনায় মোট ব্যয়ের প্রায় ৩০ শতাংশই জ্বালানি খাতে খরচ হয়। অতিরিক্ত দূরত্বের ফলে এই খরচ আরও বেড়েছে, পাশাপাশি কমেছে কার্গো বহনের সক্ষমতাও, কারণ বাড়তি জ্বালানির কারণে অতিরিক্ত ওজন বহনে সীমাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে।
এছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নতুন যাত্রাপথ নির্ধারণ করতে হচ্ছে, যা সময় ও পরিকল্পনায় বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিগো কাজাখস্তান ও উজবেকিস্তানের ফ্লাইট বাতিল করেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে টানা পাঁচ মাস পাকিস্তান তাদের আকাশসীমা বন্ধ রেখেছিল। ভারত সরকারের তথ্যমতে, ওই সময় বিমান সংস্থাগুলোর সম্মিলিত ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ৭০০ কোটি রুপি।
Leave a Reply