বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃক এফডিআর-এর বিপুল অঙ্কের অর্থ স্থানান্তর নিয়ে সম্প্রতি শুরু হওয়া আলোচনা নিয়ে শনিবার (২৬ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দিয়েছে সংস্থাটি।
এর আগে সময় সংবাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, মোট ২৫০ কোটি টাকার মতো অর্থ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে তুলে গ্রিন ও ইয়েলো জোনভুক্ত ব্যাংকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফারুক আহমেদ বলেন,
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে বর্তমানে ১২ কোটি টাকা রাখা আছে। এছাড়া কিছু ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ পাওয়া গেছে এবং ২৫ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
বিসিবি জানিয়েছে, অর্থের নিরাপত্তা এবং সর্বোচ্চ রিটার্ন নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে টাকা সরিয়ে পুনরায় বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে স্থায়ী আমানত থেকে মুনাফার হার ২ থেকে ৫ শতাংশ বেড়েছে বলে দাবি করে সংস্থাটি।
বোর্ডের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য ছড়িয়ে ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। বিসিবি স্পষ্ট করেছে, বোর্ডের কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত এককভাবে বোর্ড সভাপতির দ্বারা গৃহীত হয় না। এ ধরনের লেনদেনে দুটি কমিটির চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক। বর্তমানে ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম এ দায়িত্ব পালন করছেন।
মাহবুবুল আনাম জানান,
অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোর আগে অভ্যন্তরীণ অডিট করা হয়েছে এবং কমিটির অনুমোদনের পরেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। ব্যাংক নির্বাচনে কোনো বিশেষ পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি; বরং বেশি রিটার্ন প্রদানকারী ব্যাংককেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।”
বর্তমানে বিসিবি ইস্টার্ন, ব্র্যাক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, মেঘনা ও সিটি ব্যাংকসহ ১৩টি ব্যাংকে তাদের অর্থ ও এফডিআর গচ্ছিত রেখেছে। পাশাপাশি অগ্রণী ব্যাংকেও কিছু বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে তিনটি ব্যাংকিং পার্টনারের কাছ থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য আরও ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
Leave a Reply