বিএনপি নেতা প্রশ্ন তুললেন গঠনতান্ত্রিক পরিবর্তনের বাস্তবতা ও জনসম্পৃক্ততা নিয়ে
জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত কমিশনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি (PR System) নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়নি, এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। রোববার (৬ জুলাই) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন,
“গণতন্ত্রের বাস্তবায়নে দেশে দেশে পদ্ধতির ভিন্নতা থাকলেও, আমাদের প্রেক্ষাপটে পিআর কেবল একটি ধারণা মাত্র, এর বাস্তবায়ন কেমন হবে, কী কাঠামোতে হবে, সেটি নিয়ে কেউ স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি। অথচ এটাকে ঘিরে চলছে অনেক আলোচনা—যা কেবল ‘আলোচনার জন্য আলোচনা’ বলে মনে হচ্ছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন,
“এখন পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনেও পিআর পদ্ধতি নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনার সূচনা হয়নি। অথচ আমাদেরই কিছু সহকর্মী এ নিয়ে দৃঢ় অবস্থান নিচ্ছেন, যেন পদ্ধতিটি প্রয়োগ করতেই হবে। বাস্তবে কিন্তু বিষয়টি এখনও দিকহীন।”
নজরুল ইসলাম পিআর পদ্ধতির আলোচনার প্রেক্ষাপটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) ব্যবস্থার উদাহরণ টেনে বলেন,
“ইভিএম পদ্ধতি তো কেবল ভোট দেয়ার প্রযুক্তিগত মাধ্যম। এটি চালুর পেছনে ব্যাপক প্রচার, প্রশিক্ষণ ও ব্যয় হয়েছে। আজ পর্যন্ত সেটিও কার্যকর করা যায়নি। আর পিআর পদ্ধতি তো গোটা নির্বাচনী কাঠামো ও সংসদীয় প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের বিষয়। তাহলে কীভাবে এত বড় কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়ে জনগণকে না জানিয়ে, মতামত না নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে?”
তিনি প্রশ্ন তোলেন:
“পিআর নিয়ে কি কোনো জনমত যাচাই, সুশীল সমাজের সঙ্গে পরামর্শ, কিংবা গবেষণা-ভিত্তিক বিশ্লেষণ হয়েছে? এসব কিছু না থাকলে এই আলোচনার ভিত্তি কোথায়?”
সংবিধানিক সংস্কার ও রাজনৈতিক কাঠামো বদলের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে নজরুল ইসলাম বলেন,
“যারা আমাদের সংস্কারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারা আসলে প্রকৃত বাস্তবতা দেখেন না। বড় কোনো পরিবর্তনের আগে গভীর চিন্তা ও পর্যালোচনা জরুরি। বিশেষ কোনো দলের স্বার্থে নয়, বরং জনগণের প্রকৃত স্বার্থে পরিবর্তন হতে হবে।”
Leave a Reply