বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল তাদের ইতিহাস গড়ার অভিযানে যুক্ত করলো আরেকটি গৌরবময় অধ্যায়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ওঠার পথে বাছাই পর্বে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিটার জেমস বাটলারের শিষ্যরা। এর মধ্য দিয়ে শতভাগ জয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই ‘উইমেন্স এশিয়ান কাপ ২০২6’-এর মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মিয়ানমারের ইয়াংগুনে অনুষ্ঠিত ‘সি’ গ্রুপের এই ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার হলেও মাঠে বাংলাদেশ দল ছিল দুর্দান্ত আগ্রাসী। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে নজর কাড়ে বাংলাদেশ।
এই তিন ম্যাচে বাংলাদেশ মোট ১৬টি গোল করেছে এবং মাত্র একটি হজম করেছে। বাছাইয়ে গোলদাতাদের তালিকায় আছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও ঋতুপর্ণা চাকমা (২টি করে), মনিকা চাকমা, তহুরা খাতুন ও স্বপ্না রানী (১টি করে)।
মাত্র ৪ মিনিটেই গোল উৎসব শুরু করেন স্বপ্না রানী। এরপর একে একে জালে বল পাঠান শামসুন্নাহার জুনিয়র (২টি), মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা এবং তহুরা খাতুন। প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ, যা এক প্রকার ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে তরুণ ফুটবলারদের সুযোগ দেন কোচ বাটলার। রুপনা চাকমা, ঋতুপর্ণা ও শিউলিকে তুলে নামান উমহেলা মারমা, স্বপ্না রানী মন্ডল ও হালিমা আক্তারকে। যদিও গোল সংখ্যা আর না বাড়লেও বল দখলে ও রক্ষণে দৃঢ়তা বজায় রাখে বাংলাদেশ।
এই জয়ে বাংলাদেশ নারী দল প্রথমবারের মতো এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠলো, যা দেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে এক বিশাল অর্জন। বাছাই পর্বে বাংলাদেশ যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, তা কেবল ফলাফলে নয়—আত্মবিশ্বাস ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনাতেও বড় বার্তা দেয়।
Leave a Reply