1. admin@arshinagartv.com : admin :
  2. sobujhossain.asiantv@gmail.com : admin01 admin01 : admin01 admin01
  3. abclimited2020@gmail.com : hr@admin :
  4. kmsobuj.myreportjtv@gmail.com : kmsobuj.myreportjtv@gmail.com kmsobuj.myreportjtv@gmail.com : kmsobuj.myreportjtv@gmail.com kmsobuj.myreportjtv@gmail.com
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৪ অপরাহ্ন

আশুরায় যেসব কর্মকাণ্ড পরিহারযোগ্য: ইসলামি শরিয়তের আলোকে সতর্ক বার্তা

নিউজডেস্ক
  • Update Time : শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ৬ Time View

আশুরা—একটি ইতিহাস, এক মহাপাঠ। হিজরি সালের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখে পালিত এ দিনটি ইসলামি ইতিহাসে তাত্পর্যপূর্ণ ও সম্মানিত দিনগুলোর অন্যতম। নবী করিম (সা.)-এর যুগ থেকেই এ দিনটিকে গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়ে আসছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আশুরার নামে কিছু কুসংস্কার ও শরিয়তবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রচলিত হয়েছে, যা ইসলামের মূল চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

আশুরার সঙ্গে সবচেয়ে বড় যে ঐতিহাসিক ঘটনা জড়িয়ে আছে, তা হলো ৬১ হিজরিতে কারবালার প্রান্তরে হজরত ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত। মুসলিম উম্মাহর ইতিহাসে এটি গভীর বেদনাবিধুর ঘটনা। তবে এ শোককে কেন্দ্র করে যেসব রীতিনীতি চালু হয়েছে, তার বেশিরভাগই ইসলামি শরিয়তের সীমানা লঙ্ঘন করে। যেমন: মাতম, তাজিয়া মিছিল, শরীর রক্তাক্ত করা, শোকপোশাক পরা ইত্যাদি।

আশুরার দিনে যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন:
১. নকল তাজিয়া তৈরি ও মিছিল বের করা — রাস্তার মোড়ে তাজিয়া মিছিল শরিয়তসম্মত নয়।
২. মাতম, বুক চাপড়ানো, করুণ শোকগাথা পাঠ করা — ইসলামে এসবের কোনো অনুমোদন নেই।
৩. ছুরি দিয়ে দেহে আঘাত করে রক্তপাত — কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
4. শোকপোশাক (কালো বা সবুজ বিশেষ পোশাক) পরা — এটি ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নয়, বরং কুসংস্কার।
৫. ইমাম হুসাইনের নামে অর্থ বা ফুল দিয়ে নজরানা দেওয়া — বিদআতি ও শরিয়তবিরোধী কাজ।
৬. শিশুদের দিয়ে ভিক্ষা করানো বা তাদের নামে মানত ধরা — ইসলামে এভাবে ভিক্ষাবৃত্তিকে উৎসাহ দেওয়া জায়েজ নয়।
৭. শোক পালনকে কেন্দ্র করে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান — এ ধরনের প্রদর্শন ইসলামের রূহানিয়াতকে ব্যাহত করে।
৮. ভিত্তিহীন ও জাল হাদিস প্রচার — “১০ দিন রোজা রাখলে ১০ হাজার বছরের ইবাদতের সওয়াব”—এমন কথার কোনো গ্রহণযোগ্য দলিল নেই।

আশুরার প্রকৃত আমল কী হওয়া উচিত?
আশুরার মূল শিক্ষা হলো—ত্যাগ, ধৈর্য, ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও তাকওয়ার অনুসরণ। এ দিন রোজা রাখা, অতীত ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ, গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়ানো এবং ইবাদতে মনোনিবেশ করাই ইসলামের প্রকৃত নির্দেশনা।

বিশেষজ্ঞ মত
শায়খ আবু ফারহান মাদানী বলেন:
“আশুরা হলো আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের দিন। আমরা যেন এ দিনের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করি, কুসংস্কারে না জড়াই। ইসলাম কখনো রক্তপাত, মাতম বা বেদনার প্রদর্শন সমর্থন করে না—বরং আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টিই এ দিনের প্রধান বার্তা।”

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © arshinagar tv 2025
Design & Develop BY Coder Boss