ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন দখলকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সার্বভৌম ভূখণ্ডে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে—যা যদি কার্যকর হয়, তাহলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে চূড়ান্তভাবে সংকুচিত করবে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির ১৫ এমপি এরই মধ্যে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট কনেসেটে একটি যৌথ চিঠি জমা দিয়েছেন, যাতে পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংযুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। এই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়,
“যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমর্থন থাকায়—বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান—এখনই উপযুক্ত সময় পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার।”
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোরিচ উভয়েই এই উদ্যোগে সরাসরি সমর্থন জানিয়েছেন। স্মোরিচ বলেন,
“এটি ইসরায়েলের শত্রুদের জন্য একটি কড়া বার্তা। প্রধানমন্ত্রী যখন চাইবেন, আমরা মুহূর্তেই এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’—Two-State Solution-এর বিরুদ্ধাচরণ করে। পশ্চিম তীরকে সার্বভৌমভাবে সংযুক্ত করা মানেই সেখানে ইসরায়েলি বসতিগুলোর বৈধতা প্রতিষ্ঠা করা এবং ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের স্বপ্ন একরকম বিলুপ্ত করে দেওয়া।
ইসরায়েলের এই আগ্রাসী ভূমিকাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন’ আখ্যা দিয়েছে সৌদি আরব, মিসরসহ বিভিন্ন আরব রাষ্ট্র।
তারা বলছে,
“ফিলিস্তিনি ভূমিকে জোরপূর্বক সংযুক্ত করা কোনোভাবেই বৈধ নয়, এটি একটি সাম্রাজ্যবাদী আচরণ।”
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালে জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল। তবে গত পাঁচ দশকে অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করলেও কখনো আইনি বা আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের ভূখণ্ড ঘোষণা করেনি। এখন, সেই দিকেই যাচ্ছে নেতানিয়াহুর সরকার।
Leave a Reply