চট্টগ্রামের পটিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (২ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধে ওই মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশে যান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে।
বিক্ষোভকারীরা প্রথমে পটিয়া থানার সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কার্যক্রম শুরু হয়, যার ফলে দুপাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্র এবং আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে থানায় নিয়ে গেলে, পুলিশ জানায় ওই ব্যক্তির নামে কোনো মামলা নেই, ফলে তাকে গ্রেফতারের সুযোগ নেই। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ পক্ষ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, থানায় ঢুকে উত্তেজনা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যা প্রতিহত করতে গিয়েই পুলিশের ৩-৪ সদস্য আহত হন।
ঘটনার পর থেকে পটিয়া থানা এলাকা এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে তৎপর রয়েছে। তবে বিকেল নাগাদ অবরোধ অব্যাহত থাকায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্ররাজনীতি ও পুলিশি হস্তক্ষেপের ঘটনা নতুন মাত্রা নিচ্ছে—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে বিকল্প ধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক আগামীর রাজনীতিতে কী বার্তা দিচ্ছে, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা।
Leave a Reply