বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য এটি শুধুই একটি জয়ের গল্প নয়—এটি ইতিহাস লেখার দিন। দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা শেষে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
সি গ্রুপের শীর্ষে থেকেই উত্তরণ
বাহরাইনকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে কার্যত গ্রুপ পর্বেই নিজেদের অবস্থান শক্ত করে বাংলাদেশ। এরপর ‘সি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে তুর্কমেনিস্তান ও বাহরাইনের মধ্যকার ২-২ গোলের ড্র নিশ্চিত করে বাংলার বাঘিনীদের টুর্নামেন্টের মূলপর্বে জায়গা।
গ্রুপ পর্বের শেষ চিত্রটা ছিল এরকম—বাংলাদেশ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে মিয়ানমার ৩ পয়েন্টে, এবং সমান ১ পয়েন্ট করে নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান।
মুখোমুখি ফলেই এগিয়ে বাংলাদেশ
এএফসি নিয়ম অনুযায়ী, পয়েন্ট সমান হলেও আগে বিবেচনায় আসে মুখোমুখি লড়াই। সে হিসেবে মিয়ানমার ও বাহরাইন বাংলাদেশের সমান পয়েন্ট পেলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারত না।
বাটলারের অধীনে নতুন ইতিহাস
পিটার বাটলারের কোচিংয়ে এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করল বাংলাদেশের নারী ফুটবল। এর আগের কোনো আসরে বাছাইপর্বে জয় না পেলেও এবার দুই ম্যাচেই দাপুটে জয় এনে দেন ঋতুপর্ণা চাকমা, আফঈদা ও দলের অন্যান্য খেলোয়াড়রা।
এখন সামনে মূল মঞ্চ
আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় বসবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের ২১তম আসর। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টে আয়োজকসহ চারটি দল ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে। বাকি ৮টি দল বাছাইপর্ব পেরিয়ে জায়গা পাবে মূল মঞ্চে। সেখানেই ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ।
Leave a Reply