জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করতে নতুন নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ২০২৫’ নামে এই গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ডিসি, এসপি, ইউএনও ও ওসি’র ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে ভূমিকা বাদ দেওয়া হয়েছে, যা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় একটি তাৎপর্যপূর্ণ মোড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নতুন নীতিমালার আওতায় মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আর কোনো ভোটকেন্দ্র স্থাপন কমিটি থাকছে না। পরিবর্তে, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের হাতেই সম্পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দিয়েছে ইসি।
এই সিদ্ধান্তের ফলে স্থানীয় প্রশাসনের রাজনৈতিক প্রভাবের আশঙ্কা অনেকাংশেই কমবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০২৩ সালের ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালায় ডিসি ও এসপিদের সমন্বয়ে গঠিত জেলা কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্র নির্ধারণ ও পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব কমিটির নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।
নতুন নীতিমালায় উল্লেখযোগ্যভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে ইভিএম-ভিত্তিক ভোটকেন্দ্রের জন্য আলাদা কক্ষ নির্ধারণের বিষয়। ফলে ইভিএম ব্যবহারের কৌশলগত দিক নিয়েও ইসির নতুন কৌশল প্রত্যাশিত।
এই পদক্ষেপে নির্বাচন কমিশনের একটি বড় বার্তা স্পষ্ট—তারা আর স্থানীয় প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল না থেকে নিজেদের হাতে নিয়ন্ত্রণ চায়। বিশেষ করে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কমিশনের প্রস্তুতি এখন অনেক বেশি সংগঠিত ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
Leave a Reply