চীন থেকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন পেয়েছে পাকিস্তান—যা দেশটির বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে এক বড় স্বস্তির বার্তা বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে সম্প্রতি পরিশোধ করা আরও ১৩০ কোটি ডলারের ঋণ পুনর্বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিয়েছে বেইজিং।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা রবিবার (২৯ জুন) জানান, চীনের এই সহায়তা এবং সাম্প্রতিক বহুপাক্ষিক ঋণ মিলিয়ে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে উন্নীত হতে পারে।
বলা হচ্ছে, এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
চীন এর আগেও পাকিস্তানকে প্রায় ২১০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল, যা গত তিন অর্থবছর ধরে ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে রয়েছে। এবার সেটির মেয়াদ নবায়নের মাধ্যমে পাকিস্তানকে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল রাখার পথে নতুন উদাহরণ স্থাপন করল বেইজিং।
পাকিস্তানের আর্থিক কর্তৃপক্ষের মতে, শুধুমাত্র চীন নয়—মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও ১০০ কোটি ডলার এবং বহুপাক্ষিক আর্থিক সহায়তা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ মিলেছে। এই সব ঋণ মিলে আইএমএফের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী জুন শেষে ন্যূনতম রিজার্ভ সীমা বজায় রাখার লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে।
৭০০ কোটি ডলারের আইএমএফ বেইলআউট প্যাকেজ এবং কাঠামোগত অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পাকিস্তান ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার পথে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
Leave a Reply