ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেইকে কটাক্ষ করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি ইরান পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ফেরত যায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র “নিশ্চয়ভাবেই আবারও হামলা চালাবে”।
Truth Social-এ দেওয়া এক বিস্ফোরক পোস্টে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ইসরায়েলকে খামেনেইকে হত্যা করতে বাধা দিয়েছিলেন, যদিও জানতেন তিনি কোথায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
তার দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে, তিনটি বড় পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে। আমি জানতাম সে কোথায় লুকিয়ে ছিল, তবুও আমি ইসরায়েল বা মার্কিন বাহিনীকে তাকে হত্যা করতে দিইনি,” লেখেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প আরও বলেন, খামেনেই যেভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে “জয়” দাবি করেছেন, তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, খামেনেইর “ঘৃণা ও রাগ” দেখে তিনি ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত পরিকল্পনা বাতিল করেছেন।
হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “যদি পারমাণবিক কর্মসূচি শেষ না হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আবার হামলার পরিকল্পনা করা হবে।”
তবে ফাঁস হওয়া একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা মাত্র কয়েক মাস পিছিয়েছে, ধ্বংস হয়নি।
ইরান ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে আইন পাস করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, “বোমাবারুদ বিধ্বস্ত স্থানগুলোতে IAEA-র তদারকির চাহিদা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ইরানের পারমাণবিক অগ্রগতি, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহায়তার জবাব দেওয়ার জন্য তার বাহিনী প্রস্তুত।
তিনি বলেন, “আমরা খামেনেইকে টার্গেট করেছিলাম, এবং সেই সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের মার্কিন অনুমতির প্রয়োজন ছিল না।”
Leave a Reply