বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। তবে আশার কথা, চলমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রশমিত হলে বাজার ফের আগের অবস্থানে ফিরে আসতে পারে বলে মত দিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৬০ থেকে ৬৫ ডলার রেঞ্জে স্থির হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রতি ব্যারেলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ দশমিক ৮৩ ডলার, যা সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ১১.৫ শতাংশ বৃদ্ধি। একই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (WTI) তেলের দাম ২০ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৬৫ দশমিক ১২ ডলার, যা সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১১.৬৭ শতাংশ।
এই দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতি ঘিরে বিশ্বজুড়ে ভবিষ্যৎ জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক জ্বালানি মজুত কমে যাওয়ায় চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলছে। নোমুরা সিকিউরিটিজ-এর অর্থনীতিবিদ ইউকি তাকাশিমা বলেন, “তেলের বর্তমান দাম চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্য নিয়ে উদ্বেগেরই প্রতিফলন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে বাজার দ্রুতই স্থিতিশীল হবে।”
এদিকে জ্বালানি বাজারে অনিশ্চয়তার পাশাপাশি মার্কিন ডলারেও চাপ দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এর ফলে চলতি বছর ডলার সূচক ১০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে এবং এখন তা ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে।
এদিকে ওপেক প্লাসের উৎপাদন কৌশলও বাজারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী বৈঠকে যদি উৎপাদন সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে দাম কিছুটা আরও স্থিতিশীল হতে পারে।
অন্যদিকে, জাপানবহির্ভূত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শেয়ারবাজারেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। টোকিওর নিক্কেই সূচক ০.৯ শতাংশ বেড়ে গত চার মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
Leave a Reply