বাংলাদেশে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা অনেক উন্নত দেশের তুলনায় অধিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল—‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’।
শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নেই—এমন ধারণা ভ্রান্ত। বাস্তবে দেশে এমন সাংবাদিক স্বাধীনতা আছে যা উন্নত দেশগুলোতেও দেখা যায় না।” তিনি আরও দাবি করেন, “গত ১০ মাসে সরকার সংবাদমাধ্যমের ওপর কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করেনি কিংবা সাংবাদিকদের কোনো কাজে বাধা দেয়নি—যা অতীতে দেখা গেছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়।”
সেমিনারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও বেসরকারি সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে দেশের গণমাধ্যমে অরাজকতা চলেছে। এর ফলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনগুলো বৈধতা পেয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ এর সুযোগ নিয়েছে।” তিনি বলেন, “গণমাধ্যম অনিয়ম ধরতে পারলে অনেক ভুয়া নির্বাচন ঠেকানো যেত।”
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, “সংবাদমাধ্যমে প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা আলাদা করতে হবে। সেই সঙ্গে গণমাধ্যমকে ‘নন-প্রফিট’ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে, অন্যথায় স্বাধীনতার চর্চা অসম্ভব।”
দ্য ফিন্যান্সিয়াল পোস্টের প্রধান সম্পাদক এম এ আজিজ বলেন, “বর্তমানে সাংবাদিকরাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। মালিকের চাহিদা, রাজনৈতিক চাপ ও সহিংসতার ভয়ে তারা পেশাগত ঝুঁকিতে রয়েছেন।”
Leave a Reply