টেস্ট ক্রিকেটেও যুক্ত হলো স্টপ ক্লক—ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পথ ধরে এবার লাল বলের ঐতিহ্যবাহী ফরম্যাটেও সময় নিয়ন্ত্রণে আনছে আইসিসি। এছাড়া আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নিয়মে পরিবর্তন আনছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে স্টপ ক্লক নিয়ম ইতোমধ্যেই চালু হয়েছে, আর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির নতুন নিয়ম কার্যকর হবে আগামী ২ জুলাই থেকে।
নিচে দেখে নেওয়া যাক নতুন নিয়মগুলো কী কী:
প্রতিটি ওভার শেষে ঠিক ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে পরবর্তী ওভার শুরু করতে হবে।
প্রথম দুইবার ব্যর্থ হলে সতর্কবার্তা
এরপরও নিয়ম ভাঙলে ৫ রান পেনাল্টি
প্রতি ৮০ ওভার পর সতর্কতার হিসাব রিসেট হবে
⏱️ এই নিয়মের লক্ষ্য: গতি বাড়ানো, টাইম ওয়েস্টিং কমানো, এবং দর্শকের অভিজ্ঞতা উন্নত করা।
বলের সঙ্গে লালা ব্যবহারে সরাসরি বল পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই
তবে যেই দল এটি করবে, তাদের ৫ রান জরিমানা
আম্পায়ার চাইলে যেকোনো সময় বল পরিবর্তন করতে পারবেন
একটি ডেলিভারিতে যদি একবার কট বিহাইন্ড রিভিউ নেন এবং সেটি ব্যর্থ হয়, এরপর সেই একই বলের এলবিডব্লিউ এর জন্য আবার রিভিউ নেয়া যাবে।
উদাহরণ: যদি Ultra Edge-এ স্পাইক না থাকে, কট বিহাইন্ড বাতিল হলেও, বল স্টাম্পে লাগলে এলবিডব্লিউর মাধ্যমে আউট দেওয়া যাবে।
একই ডেলিভারিতে যদি এলবিডব্লিউ না দিয়ে রানআউটের আবেদন হয়, তাহলে তৃতীয় আম্পায়ার প্রথমে এলবিডব্লিউ, পরে রানআউট দেখবেন।
স্বচ্ছ ক্যাচ হলে শুধুমাত্র ১ রান (নো বল) যোগ হবে
যদি ক্যাচ নিয়ে সংশয় থাকে, তবে ব্যাটারদের দৌড়ানো রানও যোগ হবে
দ্রুত রান নিতে গিয়ে ব্যাটার যদি পপিং ক্রিজ ঠিকভাবে স্পর্শ না করেন, তাহলে দলকে ৫ রান জরিমানা গুনতে হবে।
ফিল্ডিং দল চাইলে স্ট্রাইকিং প্রান্তে ব্যাটার নির্বাচন করতে পারবে।
আইসিসি সদস্য দেশগুলোকে বলেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফুল-টাইম প্লেয়ার রিপ্লেসমেন্ট চালুর জন্য।
কনকাশনের বাইরে গুরুতর ইনজুরিতেও বদলি খেলোয়াড় নামানো যাবে
তবে হ্যামস্ট্রিং বা হালকা ইনজুরি এতে পড়বে না
এই পরিবর্তনগুলো ক্রিকেটের গতি ও স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং টেস্ট ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করতে নেয়া হয়েছে। এর ফলে ম্যাচের গতি যেমন বাড়বে, তেমনই দর্শকরাও পাবেন আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত এবং আধুনিক অভিজ্ঞতা।
Leave a Reply