হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পে ফের ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি অনুযায়ী, সৌন্দর্য ও নির্মাণ সামগ্রীর মানোন্নয়নের নামে নতুন করে আরও ২ হাজার কোটি টাকা যোগ হতে পারে এই প্রকল্পে—যা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
২০১৭ সালে অনুমোদিত প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ছিল ১৩ হাজার কোটি টাকা, যা ২০২২ সালে বাড়িয়ে করা হয় ২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এবার সেই খরচ আরও বাড়তে পারে— ২৩ হাজার কোটির ঘর ছুঁয়ে ফেলবে প্রকল্পটি।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের লাগামহীন ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে স্পষ্ট ‘পরিকল্পনায় গলদ’ রয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAAB) সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিক ভেরিয়েশন অর্ডার এসেছে—যার মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী, অনিয়ম, ও নকশা পরিবর্তন রয়েছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
CAAB চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন,
“আমরা বিষয়গুলো নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছি। দুদকও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করছি যেন দ্রুততম সময়ে টার্মিনালটি যাত্রীসেবায় চালু করা যায়।”
২০২৪ সালের শুরুতেই পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হওয়ার কথা ছিল টার্মিনালটির। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও এখনও পুরোপুরি যাত্রীসেবা শুরু হয়নি। নতুন করে ভিভিআইপি জোন, সাজসজ্জা ও প্রযুক্তিগত সংযোজনের অজুহাতে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
এভিয়েশন বিশ্লেষক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন,
“যারা শুরুতে প্রকল্পের মূল্যায়ন করেছে, তারা আগেই কেন সম্ভাব্য জটিলতা চিহ্নিত করতে পারেনি, সেটি খুঁজে বের করা জরুরি। ব্যয় যদি বাড়তেই হয়, সেটি অবশ্যই যৌক্তিক পর্যায়ে থাকতে হবে। ২ হাজার কোটি টাকা বাড়তি খরচ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
Leave a Reply