একদিকে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যকার সাময়িক যুদ্ধবিরতি টিকেই রয়েছে, অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা আগ্রাসনে আরও অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও, সংঘাতের ছায়া এখনও রয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধবিরতির আওতায় ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি হামলা আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে দুই দেশই নিজ নিজ অবস্থানে ‘বিজয়’ দাবি করেছে।
ইরানের রাস্তায় চলছে বিজয় মিছিল, আর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন—“এই জয় প্রজন্ম ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
তবে যুদ্ধ কতটা সফল ছিল, তা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য এক ভিন্ন চিত্র দেখাচ্ছে। তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবর্ষণে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি—কেবল কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়া গেছে তেহরানের নিউক্লিয়ার কর্মসূচি। এই তথ্যকে ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে তা নাকচ করে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
ইরানে: ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬১০ জন, যার মধ্যে ১৩ জন শিশু। আহত হয়েছেন ৩,০৫৬ জন।
ইসরায়েলে: ইরানের পাল্টা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন।
গাজা: ইসরায়েলের টানা সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৬,০৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত ১,৩১,৮৪৮ জন।
অক্টোবর ৭ হামলা: ইসরায়েলে হামলায় মারা যান ১,১৩৯ জন, অপহৃত হন ২০০+ জন।
যুদ্ধবিরতি ইরান-ইসরায়েল ফ্রন্টে কার্যকর হলেও, গাজায় পরিস্থিতি ভয়াবহ। মধ্যরাত থেকে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় নিহত হন অন্তত ২১ জন ফিলিস্তিনি। হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, আহতদের বেশিরভাগই চরমভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সাময়িক যুদ্ধবিরতির সুযোগে আন্তর্জাতিক মহলকে কূটনৈতিক সমাধানের পথে এগোতে হবে। না হলে যেকোনো সময় নতুন করে উত্তাপ বাড়তে পারে তেহরান-তেলআবিব রুটে।
Leave a Reply