বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক রুট হরমুজ প্রণালী বন্ধের সিদ্ধান্তের পথে এগোচ্ছে ইরান। বিষয়টি এখন আর কেবল আলোচনার পর্যায়ে নেই; ইতোমধ্যে ইরানি পার্লামেন্টে প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
এই পরিস্থিতিকে ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহের ২০ শতাংশ এই প্রণালীর ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সম্ভাব্য বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
রবিবার (২৩ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন—
“চীনা সরকারকে আহ্বান জানাব, তারা যেন ইরানকে এই পদক্ষেপ থেকে নিবৃত্ত করে। কারণ চীন নিজেই হরমুজ প্রণালীর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন—
“ইরান যদি সত্যিই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে, তাহলে তা হবে তাদের জন্য অর্থনৈতিক আত্মহননের মতো। এতে শুধু আমাদের নয়, চীন, ভারত এবং জাপানের মতো দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাও হুমকির মুখে পড়বে।”
বিশ্ববাণিজ্যে হরমুজ প্রণালীর গুরুত্ব অনস্বীকার্য। দৈনিক প্রায় ২ কোটি ব্যারেল তেল এই রুট দিয়ে পরিবাহিত হয়। প্রণালীটি বন্ধ হলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে উঠতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে নাড়া দিয়ে দেবে।
রুবিও বলেন,
“এই ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক উত্তেজনা আরও বাড়াবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও এর উপযুক্ত জবাব দেবে।”
ইরানের এই পদক্ষেপের প্রেক্ষাপট হিসেবে ধরা হচ্ছে সম্প্রতি তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন ও ইসরায়েলি অভিযানের ঘটনাগুলোকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি একটি কৌশলগত পাল্টা চাল, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে তেহরান।
Leave a Reply