ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে গাজায়, যেখানে সহায়তা নিতে আসা সাধারণ মানুষের ওপর হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় মোট ২০২ জন নিহত এবং অন্তত ১,০৩৭ জন আহত হয়েছেন ইসরায়েলি হামলায়।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন ১১ জন সহায়তা প্রত্যাশী, যারা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে জড়ো হয়েছিলেন। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে এই ফাউন্ডেশনকে “সহায়তার রাজনৈতিক অপব্যবহার” করার অভিযোগে নিন্দা জানিয়েছে।
যেখানে মানুষ খাদ্যের আশায় জড়ো হচ্ছেন, সেই স্থানগুলোতেই ঘটছে হত্যাকাণ্ড। শনিবার খান ইউনিসে একটি GHF সহায়তা কেন্দ্রে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে তিনজন নিহত হন, আহত হন আরও অনেকে। সাক্ষীদের দাবি, গুলি চালানো হয় বিনা উস্কানিতে, যদিও ইসরায়েলি সেনারা বলেছে, এটি “ভিড় নিয়ন্ত্রণের” অংশ ছিল।
খান ইউনিস থেকে আহত অবস্থায় আল জাজিরাকে ওমর আল-হোবি বলেন—
“আমি একে বলি মৃত্যুর স্থান। সামনে ট্যাঙ্ক, উপরে কোয়াডকপ্টার, চারপাশে সেনা। কেউ একটু আগে নড়লেই গুলি। ট্যাঙ্ক সরে গেলে আমরা দৌঁড়াই।”
রেড ক্রস নিশ্চিত করেছে, সম্প্রতি তাদের ফিল্ড হাসপাতালে যেসব রোগী এসেছে, তাদের অনেকেই সহায়তা নিতে গিয়ে বা বিতরণ কেন্দ্রের আশেপাশে আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একটি পরিবারের তাঁবুতে তিনজন নিহত হন। এই তাঁবুটি একটি “নিরাপদ অঞ্চল” হিসেবেই চিহ্নিত ছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দ্বারা। এখন সেই আস্থার চিহ্নও নেই।
গাজার কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ অঞ্চলে তিন দিনের বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট ও ল্যান্ডলাইন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। গাজা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে, যা মানবিক সহায়তা এবং তথ্যপ্রবাহে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
Leave a Reply