ইরান-ইসরায়েল সংঘাত প্রবল থেকে আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সংঘাতের নবম দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানের খুজেস্তান প্রদেশে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে আহভাজ শহর এবং মাহশাহর বন্দর এলাকা। ইরানি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বিকেলে বিস্ফোরণগুলোর শব্দ শোনা গেছে এসব এলাকায়।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে (Twitter) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করেছে—তারা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইরানে সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। তবে তারা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেনি কোন অঞ্চলগুলোতে হামলা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই ওই অঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। বিশেষ করে আহভাজ ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন, যেহেতু ইসরায়েলি হামলা ও প্রতিক্রিয়া এখন সরাসরি বেসামরিক অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে।
এর আগে শনিবার সকালে ইরানি সামরিক বাহিনী আইআরজিসি (IRGC) এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও বহুসংখ্যক ড্রোন ছুড়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে তেলআবিবের কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করা হয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলোও একাধিক ড্রোন হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট পরিমাণ এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইরানের ইস্পাহান প্রদেশের একটি সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কেন্দ্রে তারা সরাসরি বিমান হামলা চালিয়েছে।
সামরিক মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি বলেন,
“এটাই সেই কেন্দ্র, যেখানে ইউরেনিয়াম রূপান্তর করা হয়, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।”
তিনি আরও দাবি করেন,
“আমাদের বিমানবাহিনী সাফল্যের সঙ্গে কেন্দ্রটি এবং সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদনের অন্যান্য স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।”
ইসরায়েল সেনাবাহিনী হামলার ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করেছে, যা তাদের মতে ‘ইস্পাহানে চালানো বিমান হামলার প্রমাণ’। এ ঘটনায় পারমাণবিক উত্তেজনার মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
Leave a Reply