রাজধানীর নতুনবাজার মোড় যেন রূপ নিয়েছে আন্দোলনের কেন্দ্রস্থলে। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (UIU) শিক্ষার্থীরা শুক্রবার সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন, প্রশাসনের বিরুদ্ধে “অবৈধ বহিষ্কার” ও “স্বেচ্ছাচারী আচরণ”-এর প্রতিবাদে।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা নতুনবাজার মোড়ে অবস্থান নিলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডাগামী রাস্তায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। যদিও বিপরীতমুখী লেনে কিছু যান চলছিল, তবে সংখ্যায় তা ছিল অল্প।

সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেয়, তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে তারা আবারও একই মোড়ে ফিরে এসে সড়ক অবরোধ পুনরায় শুরু করেন, ফলে পুনরায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে কিছু শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের ১৩ দফা যৌক্তিক দাবি অবজ্ঞা করে আসছে।
তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—“পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত আমরা সড়ক ছাড়বো না।”

জানা গেছে, ২৬ ও ২৭ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপাচার্যসহ ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। যদিও ২০ মে থেকে অনলাইন ক্লাস চালু হয়, কিন্তু বহু শিক্ষার্থী তা প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে সরাসরি ক্লাস এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা দাবি করে আসছেন।

সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের বিষয় হলো—২ জুন ৪১ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। এর মধ্যে ২৪ জনকে স্থায়ী, ১৬ জনকে সাময়িক বহিষ্কার এবং একজনকে সতর্ক করা হয়েছে।