মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রস্তুতি; হাইফা, তেল আবিবসহ বহু শহরে ধ্বংসযজ্ঞ; পারমাণবিক স্থাপনাও হামলার শিকার
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নতুন মোড় নিচ্ছে। টানা তৃতীয় দিনের মতো রোববার (১৬ জুন) রাতভর একাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়ে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইরান। জবাবে ইসরায়েলও ইরানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে গেছে, যার মধ্যে ছিল পারমাণবিক কেন্দ্র ও সামরিক ঘাঁটি।
উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণহানি, বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি, এবং ভবনধ্বংসের চিত্র সামনে এসেছে। একে অনেকেই বলছেন মধ্যপ্রাচ্যে দশকের অন্যতম বড় সামরিক সংঘাত।
ইরানের ব্যালিস্টিক হামলায় তেল আবিব, হাইফা কেঁপে ওঠে
– অন্তত ৩ জন নিহত, ৭০+ আহত, বহু ভবন ধ্বংস
– হাইফার বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন, সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
– তেল শোধনাগার, বন্দর ও নৌঘাঁটি রয়েছে হাইফার মতো স্পর্শকাতর এলাকায়
ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ২২৪ জন নিহত, অধিকাংশ বেসামরিক নাগরিক
– ইরানের বিচার মন্ত্রণালয় ভবন, পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি
– ইরানের দাবি, ইসরায়েল আইআরজিসি ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্যবস্তু করছে
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রস্তুতি
– আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর দিয়ে পাঠানো হয়েছে ৩০+ KC-135 ও KC-46 ট্যাঙ্কার বিমান
– ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘ পরিসরের বিমান হামলার জন্য জ্বালানির লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে
রয়টার্স ও বিবিসির লাইভ আপডেট অনুসারে, সোমবার ভোরে তেল আবিব ও আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী বিস্ফোরণে আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আহতদের উদ্ধারে মাগেন ডেভিড অ্যাডম-এর সদস্যরা সাড়া দিচ্ছেন।
হাইফায় আগুন জ্বলছে, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে বের করছেন।
ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হামলা বন্ধ না হলে আরও কঠোর জবাব আসবে
ইসরায়েল জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার “মূল্য চুকাতে হবে” ইরানকে
ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, “ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি শিগগিরই হবে”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করেন, “ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) এই সর্বশেষ পাল্টা অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছে মেহের নিউজ। অভিযানের নাম “True Promise III”।
ইরানের দাবি, এই অভিযানে তেল আবিব, হাইফা, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর ও নেভাটিম বিমানঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (IDF) জানায়, ইরান থেকে আরও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে এবং জনগণকে সুরক্ষিত আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির সংবাদদাতা আকৃতি থাপারের বর্ণনায়, “তীব্র বিস্ফোরণ, অ্যাম্বুলেন্সের শব্দ আর আকাশজুড়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলী।”
Leave a Reply