বাংলাদেশে অনাদায়ী ঋণের চিত্র আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেই (মার্চ পর্যন্ত) দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২০.৫৩ শতাংশ—এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তিন মাসেই উদ্বেগজনক বৃদ্ধি
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৫ হাজার ৭৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যা ছিল মোট ঋণের ১৭.৮৩ শতাংশ। সেখান থেকে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ঋণ খেলাপির অঙ্ক বেড়েছে প্রায় ৫২ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা, এবং হার বেড়েছে ২.৭০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের আর্থিক খাতের ওপর এটি এক বিপজ্জনক চাপ তৈরি করছে। ঋণ আদায়ের দুর্বলতা, রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্বল তদারকি এবং বারবার পুনঃতফসিলিকরণ সুবিধার অপব্যবহার—এই চিত্রকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্যাংক খাতে ঝুঁকির সংকেত
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মোট ঋণের ২০ শতাংশের বেশি অনাদায়ী থাকাটা ব্যাংক খাতের সুস্থতা ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বড় ধরনের হুমকি। এটি মূলধন সংকট, তারল্য ঘাটতি এবং আমানতকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রতিবেদন এখন আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবিকে আরও জোরালো করেছে।
Leave a Reply