বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভক্তির অতীতকে পেছনে ফেলে একটি ঐক্যবদ্ধ ও সংস্কারমুখী ভবিষ্যতের আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে দ্বিতীয় দফার সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংলাপে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ড. ইউনূস জানান, সরকার ‘জুলাই সনদ’ নামের একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র সংস্কার দলিল প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন,
“এটি কোনো বিভক্তির নয়, বরং জাতীয় ঐক্যের সনদ হবে। আমরা সবাই মিলে এই দেশকে নতুন করে গড়ার একটি বাস্তব রূপরেখা দাঁড় করাবো জুলাই সনদের মাধ্যমে।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রথম পর্যায়ের সংলাপে ৩৩টি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। এখন দ্বিতীয় ধাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার অধিকাংশ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একমত তৈরির চেষ্টা চলবে।
তিনি আরও বলেন,
“দ্বিতীয় দফার সংলাপের মাধ্যমে আমরা জুলাই সনদকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে চাই। এটি হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো ও রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি।”
বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এমন গঠনমূলক সংলাপ এবং পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরির প্রচেষ্টা বিরল ঘটনা। বিশেষ করে, যেখানে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও আস্থাহীনতা দীর্ঘদিন ধরে স্থবিরতা তৈরি করেছে, সেখানে “জুলাই সনদ” নতুন করে সমঝোতার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে।
Leave a Reply