ক দশকেরও বেশি সময় পর রাজনৈতিক নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে চূড়ান্ত রায় পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির করা আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্টের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ, যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
রবিবার (১ জুন) এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে। ইতোমধ্যেই মামলাটি আদালতের কার্যতালিকায় এক নম্বরে স্থান পেয়েছে, যা এর গুরুত্বকে আরও স্পষ্ট করেছে।
জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির আশাবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা আশা করছি, নিবন্ধনের পাশাপাশি দলীয় প্রতীকও ফিরে পাবো। আদালতের রায় আমাদের অনুকূলে আসবে বলেই বিশ্বাস।”
ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইনজীবী আদালতকে জানান, সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে প্রতীক তালিকা থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে নিবন্ধন ফিরে পেলেও জামায়াতকে নতুন প্রতীক বেছে নিতে হতে পারে।
তবে দলটির আইনজীবীরা এর সঙ্গে একমত নন। তাদের দাবি, “দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিষিদ্ধ করার পেছনে কোনো আদালতের রায় নেই। কাজেই সেটি পুনরায় চাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের কোনো আইনি বাধা নেই।”
২০১৩ সালের ১ আগস্ট, একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এই মামলায় জামায়াতের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট শিশির মনির এবং ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
রায়ের মাধ্যমে পরিষ্কার হতে পারে—জামায়াতে ইসলামী ফের দেশের রাজনীতিতে নিবন্ধিত দল হিসেবে অংশ নিতে পারবে কি না এবং ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পাবে কি না।
Leave a Reply