1. admin@arshinagartv.com : admin :
  2. sobujhossain.asiantv@gmail.com : admin01 admin01 : admin01 admin01
  3. abclimited2020@gmail.com : hr@admin :
  4. kmsobuj.myreportjtv@gmail.com : kmsobuj.myreportjtv@gmail.com kmsobuj.myreportjtv@gmail.com : kmsobuj.myreportjtv@gmail.com kmsobuj.myreportjtv@gmail.com
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন

একদিনে বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে প্রাণ গেল ১৬ জনের, শিশুর সংখ্যা বেশি

রনি আহম্মেদ
  • Update Time : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫
  • ৩৮ Time View
বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের থাবায় আবারও প্রাণহানির মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩১ মে) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বজ্রপাত ও পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৬ জন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলায় একের পর এক দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে শিশু, কৃষক, বৃদ্ধ ও গৃহবধূ রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের প্রাণহানি রোধে প্রয়োজন পূর্বপ্রস্তুতি, জনসচেতনতা এবং দুর্যোগ-প্রবণ এলাকায় আধুনিক প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার।

ময়মনসিংহ:
গফরগাঁও ও নান্দাইলে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন একজন কৃষক ও ১২ বছর বয়সী এক শিশু। মৃতরা হলেন লামকাইন গ্রামের সোহাগ মিয়া (৪০) এবং কামালপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম (১২)।

কিশোরগঞ্জ:
সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামে বজ্রপাতে মোবারক মিয়া (১৮) নামের এক হাঁসচাষি মারা যান এবং তার ভাই ইমরান মিয়া (২২) গুরুতর আহত হন।

হবিগঞ্জ:
চুনারুঘাট উপজেলার বরাব্দা গ্রামে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেছে ভাই-বোন সাদিয়া (৭) ও নবিউর রহমান (৪)-এর।

নেত্রকোনা:
গরু আনতে গিয়ে ডুমদি গ্রামে বজ্রপাতে মারা গেছে ১০ বছর বয়সী মীম আক্তার।

শেরপুর:
নকলা ও নালিতাবাড়ীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় প্রাণ গেছে কৃষক সমির উদ্দিন (৫৮) এবং এক বৃদ্ধার, যিনি তার নাতনিকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন।

শেরপুর সদর:
রাস্তার পাশে ডোবার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে যমজ দুই বোন শিলা ও নীলা (১১)-এর।

কক্সবাজার (চকরিয়া):
পাঁচ বছর বয়সী হুরে জান্নাত রাফি বাড়ির পাশে কালভার্টের পানিতে পড়ে মারা যায়।

লক্ষ্মীপুর:
একই দিনে পানিতে ডুবে মারা গেছে তিন শিশু—ইয়াছিন (৪), আল-আমিন (৫) এবং দেড় বছর বয়সী আলিফা।

চাঁদপুর ও সুনামগঞ্জ:
মতলব উত্তরে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রী আলিফ ও ধর্মপাশায় আয়েশা খাতুন (৬৫) মারা যান।

আবহাওয়াবিদদের মতে, এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও ডিজাস্টার ফোরাম বলছে, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বজ্রপাত প্রতিরোধক প্রযুক্তি এবং দুর্যোগ-প্রবণ এলাকায় সময়মতো সতর্কতা জারি হলে প্রাণহানি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

“প্রতিবছর বজ্রপাতে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু মানুষ এখনো সচেতন হয়নি। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম দরকার,” বলেন দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ড. মাহফুজ আরেফিন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © arshinagar tv 2025
Design & Develop BY Coder Boss