জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশে আরেকটি এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি তৈরির গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। গতকাল (২৩ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাহিদ লেখেন,
“বাংলাদেশের রাজনীতিকে আধিপত্যবাদী হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত করে স্বাধীন ও সার্বভৌম পথে এগিয়ে নেওয়াই আমাদের অঙ্গীকার। বারবার এ জাতিকে বিভাজনের ফাঁদে ফেলে দুর্বল করে রাখার অপচেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর থেকেই বিদেশি প্রভাবশালী মহল বিশেষ করে দিল্লি থেকে নতুন করে দেশকে অস্থির করার পরিকল্পনা চলছে।”
নাহিদ ইসলাম তাঁর পোস্টে বাংলাদেশের জনগণ, ছাত্রসমাজ ও সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক অংশকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি লিখেন,
“ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশপন্থী ও ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতা, দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার ও সৈনিকদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জনগণের কাছে করা সংস্কার, বিচার ও ভোটাধিকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হবে। তাঁর মতে, রাজনৈতিকভাবে একটি টেকসই সমাধান এনে দায়িত্বশীল নেতৃত্বের পরিচয় দিতে হবে।
নাহিদ ইসলাম এনসিপির পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন:
🔹ঘোষিত জুলাই সনদ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রচনা করতে হবে।
🔹নির্ধারিত টাইমফ্রেম অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
🔹নির্বাচনের পূর্বেই ‘জুলাই গণহত্যার’ বিচার শুরু ও রোডম্যাপ প্রকাশ করতে
হবে।
🔹নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন একসাথে দিতে হবে।
নাহিদ ইসলামের বক্তব্য স্পষ্টতই একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংকেত বহন করে। একদিকে এটি বিদেশি প্রভাব মোকাবেলায় আত্মনির্ভরশীলতা ও সার্বভৌম রাজনীতির প্রতি আহ্বান, অন্যদিকে এটি একটি আন্দোলনের রূপরেখাও, যার মূলে আছে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’, ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
Leave a Reply