রাজধানীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবব্রত দাস ধ্রুব–এর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কলেজের সামনেই বৃহস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধনে অংশ নেন তার পরিবার, সহপাঠী, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
প্রায় ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও ধ্রুবর মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন মানববন্ধনে উপস্থিত স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা। তাদের অভিযোগ, ঘটনার তদন্তে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় রয়েছে রহস্যজনক নিস্ক্রিয়তা ও গোপনীয়তা।
গত ১২ মে বেলা ৩টা ১৫ মিনিটে, ধ্রুব কলেজের ‘ফাদার টিম’ ভবন থেকে নিচে পড়ে যান। সহপাঠীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ধ্রুব ছিলেন নটরডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী। তার অস্বাভাবিক মৃত্যু পুরো কলেজ অঙ্গনে সৃষ্টি করে গভীর শোক ও প্রশ্নের ঝড়।
মানববন্ধনে ধ্রুবর বাবা বানিব্রত দাস চঞ্চল বলেন,
“আমার ছেলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চাই। কিন্তু কলেজ প্রশাসন সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে সহযোগিতা করছে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
মা তমা রানী সিং কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন,
“আমরা নটরডেম কলেজে ছেলেকে ভর্তি করে নিশ্চিন্ত ছিলাম। সেই আস্থার জায়গায়ই আজ ছেলের লাশ। কলেজ কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। আমি কেবল সত্যটা জানতে চাই।”
মানববন্ধনে ধ্রুবর বন্ধুরাও তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন,
“আমরা এখনো জানি না ধ্রুব কীভাবে মারা গেল। এমনকি তদন্তের অগ্রগতির ব্যাপারে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। ধ্রুবর মৃত্যু নিয়ে কেন এত অস্বচ্ছতা?”
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের সদস্যরা বলেন,
“নটরডেম কলেজ দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ এ ধরনের একটি গুরুতর ঘটনায় তাদের ভূমিকা আশানুরূপ নয়। পুরো বিষয়টিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে গভীর প্রশ্ন এবং রহস্য।”
তারা আরও বলেন, এমন ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তই একমাত্র উপায়, যাতে পরিবার ন্যায়বিচার পায় এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
Leave a Reply