গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হামলায় আজ ভোর থেকে কমপক্ষে ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা-কে দেয়া চিকিৎসা সূত্র। পশ্চিম তীরে অবস্থিত জেনিন শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে আসা বিদেশি কূটনীতিকদের দিকে “সতর্কতামূলক গুলি” ছোড়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দার সুর আরও জোরালো হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে, যেখানে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো সতর্ক করছে গাজায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
“এই সহায়তা চরমভাবে অপর্যাপ্ত” — জাতিসংঘ
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্তেফান দুজারিক জানিয়েছেন, অবশেষে কিছু মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করলেও, তা “গাজায় ক্ষুধার্ত ও বিপর্যস্ত জনগণের প্রয়োজনের তুলনায় চূড়ান্তভাবে অপ্রতুল”। বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের পাশে মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়ে দিন কাটাচ্ছে, আর ত্রাণ সহায়তা প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত ৫৩,৬৫৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,২১,৯৫০ জন আহত হয়েছেন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, প্রকৃত নিহতের সংখ্যা ৬১,৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে চালানো হামলায় প্রায় ১,১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত এবং ২০০-এর বেশি মানুষ অপহৃত হন। এর পর থেকে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া এবং চলমান সামরিক অভিযান আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেনিন শিবিরে কূটনীতিকদের দিকে গুলি ছোড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে আরও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব নেতারা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং পূর্ণাঙ্গ মানবিক সহায়তা প্রবেশের দাবি জানাচ্ছেন।
Leave a Reply