পারভেজ হোসেন ইমনের ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরি আর তানজিম সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভর করে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই স্বস্তির জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। শারজাহতে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২৭ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।
শুরুটা হয়েছিল ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক ইনিংস দিয়ে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইমন খেলেন ৫৪ বলে ৫ চার ও ৯ ছক্কায় ঝড়ো ১০০ রানের ইনিংস, যা বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম শতক। তামিম ইকবালের পর এই ফরম্যাটে দেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান এখন ইমন। তাঁর ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯১ রান করে।
১৯২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা আমিরাত ঝড়ো সূচনা করে মাত্র ৩.৫ ওভারে ৪০ রান তুলে ফেলে। প্রথম ধাক্কাটা দেন হাসান মাহমুদ, ফেরান জোহাইবকে (৯)। পরের ওভারে মোস্তাফিজ ফেরান শরাফুকে (১)।
কিন্তু এরপরই ম্যাচ জমে ওঠে। ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও রাহুল চোপড়ার ব্যাটে স্বাগতিকরা গড়ে তোলে ৬২ রানের জুটি, যার মাঝে ওয়াসিম পূরণ করেন অর্ধশতক। তিনি ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৪ রান।
ম্যাচের মোড় ঘোরাতে এগিয়ে আসেন তরুণ পেসার তানজিম সাকিব। প্রথমে ওয়াসিমকে ফিরিয়ে দেন, এরপর বিধ্বংসী হয়ে উঠতে থাকা রাহুল চোপড়াকেও (২২ বলে ৩৫) থামান।
শেষভাগে ব্যাট হাতে লড়াই জমিয়ে তুলেছিলেন আসিফ খান, যিনি শেখ মেহেদীর এক ওভারে মারেন ৩টি ছক্কা। তবে একপ্রান্তে সহায়তা না পাওয়ায় চাপ বেড়ে যায়। আসিফ ২১ বলে ৪২ রানে থামলে শেষ হয়ে যায় আমিরাতের জয়ের আশা।
অবশেষে আমিরাত থামে ২০ ওভারে ১৬৪ রানে, হারায় সবকয়টি উইকেট।
বোলিংয়ে পারফরম্যান্স:
🔹হাসান মাহমুদ: ৩ উইকেট
🔹মোস্তাফিজুর রহমান: ২ উইকেট
🔹তানজিম সাকিব: ২ উইকেট (গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু)
🔹শেখ মেহেদী ও তানভীর ইসলাম: ১টি করে উইকেট
এই ম্যাচ দিয়ে টাইগারদের নতুন সিরিজ শুরু হলো আত্মবিশ্বাসের জয় দিয়ে। তবে বোলারদের জন্য এটি ছিল বাস্তব এক পরীক্ষা—যেখানে তারা প্রমাণ করেছে চাপের মুখেও লাইন-লেংথ ঠিক রেখে কিভাবে ম্যাচ নিজেদের দিকে টেনে আনা যায়।
Leave a Reply